সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের কাছ থেকে খাবার হোটেলে অতিরিক্ত টাকা আদায়!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •

পর্যটকদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন টেকনাফের নবাগত ইউএনও

ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’এর প্রভাব, সাগর উত্তাল থাকার কারনে দ্বীপে আটকা পড়ে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অবশেষে ১১ নভেম্বর স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী আটকাপড়া পর্যটকদের দ্বীপ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, ১১ নভেম্বর আটকাপড়া দেড় হাজার পর্যটকদের দ্বীপ থেকে নিয়ে আসার জন্য টেকনাফ থেকে তিনটি জাহাজ সেন্টমার্টিন উর্দ্দশ্যে রওয়ানা দেয়। এরপর বিকাল সাড়ে ৪টায় টেকনাফ জাহাজ ঘাটে এসে পৌছে তিন দিন যাবত দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকরা। সরেজমিনে গিয়ে যায়,পর্যটকবাহী তিনটি জাহাজ টেকনাফ জেটি ঘাটে পৌছার পর টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃসাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যরা পর্যটকদের ফুল দিয়ে বরন করে নেন।

এদিকে আটকাপড়া বেশ কয়েকজন পর্যটকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা দ্বীপে থাকা অবস্থায় ভয় আর আতংকের মধ্যে তিনটা দিন কাটিয়ে ছিল।

তারা দুঃখ প্রকাশ করে আরো বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা মাইকিং করে দ্বীপে থাকা পর্যটকদের সার্বিক সহযোগীতা নিরাপত্তা, হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষকে ৫০% ডিসকাউন্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের সেই নির্দেশ অমান্য করেছে বলে অভিযোগ করেন।

এদিকে খাবার হোটেল গুলো আটকাপড়া পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক পর্যটক।

ঢাকা পান্থপথ থেকে স্ব-পরিবারে প্রবালদ্বীপে বেড়াতে আসা আবুল কালাম আজাদ অভিমত প্রকাশ করে বলেন বিয়ের পর এই প্রথম স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ও একমাত্র শিশু সন্তান আরিশাকে নিয়ে একদিনের জন্য সেন্টমার্টিনে বেড়াতে এসে আটকা পড়ে গিয়েছিলাম। তিনি বলেন, এই তিনটা দিন আমাদের কাছে স্বরনীয় হয়ে থাকবে।

কারণ আনন্দের পাশাপাশি ভয় আর আতংকের মধ্যে পার করেছি তিনটা দিন আমরা সবাই ঘুর্নিঝড় বুলবুল এর কখন ছোবল মারবে দ্বীপে সেই টেনশানে ছিলাম। তারা সুন্দর ও সুস্থ শরীর নিয়ে ফিরে আসতে পেরে জাহাজ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন,দ্বীপে আটকাপড়া পর্যটকদের নিয়ে আমরা খুবেই টেনশানে ছিলাম। অবশেষে পর্যটকদের সুস্থ শরীর নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। তিনি জানান আটকপড়া পর্যটকরা দ্বীপে থাকা অবস্থায় যেন কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হয় সেই দিকে সার্বক্ষনিক নজর রাখা হয়েছিল।

এদিকে পর্যটকরা টেকনাফে পৌছার পর নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে চলে যাওয়ার জন্য যাত্রীবাহি গাড়ি দিয়ে রওয়ানা দিয়েছে।